২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৫৯

ক্ষমা চাইলেন আকবর

 স্পোর্টস ডেস্ক : অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনায় ঠাঁসা। দুদলের ক্রিকেটারদের মধ্যেই আগ্রাসী ভাবও দেখা গেছে। ম্যাচ শেষেও আক্রমণাত্মত ভূমিকায় দেখা যায় তাদের।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতায় মাঠের মধ্যেই বুনো উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। তাও আবার ভারতের ক্রিকেটারদের সামনে। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি পড়শী যুবারা। টাইগার তুর্কিদের গালি দিয়ে বসেন তারা।

ফলে দুদলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বাকবিতণ্ডয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারা। একে অপরে করেন ধাক্কাধাক্কি। এমনকি হাতাহাতির কথা শোনা যাচ্ছে!

অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। তিনি মনে করেন, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান থাকা উচিত ক্রিকেটারদের। এ উত্তেজনার পারদ বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ থেকেই ছড়িয়েছে।

রবিবাসরীয় জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আকবর বলেন, আমি জানি না কি হয়েছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি ঘটেছিল। আমি মনে করি, কোনো জায়গাতেই এমনটা হওয়া উচিত নয়। প্রতিপক্ষকে আমাদের সম্মান করা উচিত। খেলাটাকে সম্মান করা উচিত। ক্রিকেটকে বলা হয় জেন্টলম্যানদের গেম। অনভিপ্রেত এ ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার দলের হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে বৃষ্টি আইনে শক্তিশালী ও নাক উঁচু ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বেশ কয়েকবার ভারতীয় যুবাদের কাছে হেরেছে তারা। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের কাছে ১৩১ রানে পরাজিত হন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ফলে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় তাদের।

এরপর গেল বছর এশিয়া কাপের ফাইনালেও ভারত জুজু কাটাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই ম্যাচে ৫ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। এ দুই মহারণের ক্ষত থেকেই রবিবাসরীয় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন টাইগার যুবারা বলে মনে করেন অধিনায়ক আকবর।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশ-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতার অংশ ছিল। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে আমরা তাদের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালি লড়াইয়ে হেরেছি। তাও সেটা মাত্র দুই মাস আগে। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেরা কিছুটা উত্তেজিত ছিল।আমি আবারো ক্ষমা চাচ্ছি।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০ ৫:০৩ অপরাহ্ণ