সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- মো. আলাউদ্দিন সরদার, মো. মাসুদ, রাসেল হাওলাদার ও জহিরুল ইসলাম অপু।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে হামলার সাথে আর কারা জড়িত ছিল জানতে চাইলে সঠিক জবাব না দিয়া কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, আসামিদের সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার করাসহ ঘটনার সময় ভিকটিমের কাছ থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, লেন্স, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, অফিসিয়াল আইডি কার্ড, মানিব্যাগসহ নগদ ৪ হাজার ৮০০ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধারের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটিতে ইসমাইল হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হন আগামী নিউজ ডটকমের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। রাজধানীর রায়ের বাজারের জাফরাবাদ সাদেক খান রোড এলাকায় ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকনের (টিফিন ক্যারিয়ার মার্কা) অনুসারীরা সশস্ত্র অবস্থায় একটি বড় মিছিল নিয়ে জাফরাবাদের দিকে যাচ্ছিল। সুমন সে মিছিলের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। ভিডিও ধারণের সময় মিছিল থেকে ১২-১৫ জন সন্ত্রাসী তার ওপর চড়াও হন। তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হন। আসামিরা সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কিল-ঘুষি ও হকিস্টিক দিয়ে মারধর করেন। কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। গুরুতর আহত সুমনকে দ্রুত হাসপাতালে নেন অন্য সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন মোস্তাফিজুর রহমান সুমন।