৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৩৪

বাংলাদেশে প্রবেশে সবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেকোনো দেশ থেকে যে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশকালে বন্দরে স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এতদিন শুধু চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতো। এবার তার পরিসর বাড়িয়ে যেকোনো দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের এর আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

শনিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর দেখা মিলেছে দুই ডজনেরও বেশি দেশে। শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাতশ। এই অবস্থায় জানুয়ারির শেষ দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে চীন ফেরত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানারের আওতায় আনা হয়।

তবে চীন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর আসায় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকার শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরে যে কোনো দেশ থেকে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চীন ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে স্থানীয়ভাবে একজনের দেহ থেকে আরেকজনে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। একারণে বিমানবন্দরে আসা সবগুলো বিমানকেই স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আাসলে চীন এবং আরও কয়েকটি দেশের যাত্রীদের এই স্ক্রিনিং কার্যক্রমে আনলেই যথেষ্ট ছিল। কিন্তুঅতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এটা চালু করেছি। এটা সব দেশের ফ্লাইটের ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে।’

‘এটা বাড়তি সতর্কতা। শুক্রবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এটি কতদিন ধরে চলবে তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সবগুলো বন্দরে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষঅ করার সক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আছে কি-না প্রশ্নে আইইডিসিআর পরিচালক ফ্লোরা বলেন, ‘বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহযোগিতায় এ কাজটি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এর জন্য আমরা এয়ারলাইন্সগুলোর সহযোগিতা নিচ্ছি। ফ্লাইটের মধ্যে যে ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম দেওয়া হয়, তাতে এয়ারলাইন্সগুলো সহায়তা করে। আমরা সম্মিলিতভাবেই করছি। এখানে এয়ারলাইন্সগুলোর সহযোগিতা খুবই জরুরি।’

যে বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই সেখানে হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দেয়া হয়েছে আর বিমানযাত্রীদের পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের একটি কার্ড পূরণ করতে হচ্ছে বলেও জানান আইইডিসিআরের পরিচালক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার সকাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৮৪ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলেও কারও দেহে নভেলা করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ