২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:১৫

‘সিটি নির্বাচনের ফল বাতিলের সুযোগ নেই’

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফল বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। তবে আদালত চাইলে করতে পারে’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব।

মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। গতকাল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। তবে আদালত করতে পারে। কেউ যদি চায়, আদালত পর্যন্ত যেতে পারে। পরবর্তীতে আদালত যদি কোনো আদেশ দেন নির্বাচন কমিশনকে, সেটা আমরা দেখব।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে প্রকৃতপক্ষে যা ভোট দেয়া হয়েছে, ঠিক সেটাই পড়েছে। এখানে অতিরিক্ত ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। আঙুলের ছাপ ও আইডি কার্ড ছাড়া যেহেতু ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই, ভোটারকে অবশ্যই ফিজিক্যালি যেতে হবে। ভোটার কেন্দ্রে না গেলে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।’

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন তার ভোট অন্যজন দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোনো বুথে ১০০ ভোট থাকলেও ১০০-এর বেশি ভোট পড়ার অভিযোগ করেছেন কোনো কোনো কাউন্সিলর। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একজন ভোট দিতে যান নাই, অথচ তার ভোটটি পড়েছে এরকম একটা দেখাক। তাহলে বলা যাবে ভোটাররা আসেননি, অথচ ভোট পড়েছে। ইভিএম সিস্টেমে ভোটার না আসলে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। ইভিএমের যে কারিগরি দিক রয়েছে, তাতে এটা সম্ভব না।’

প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে এক শতাংশ আঙুলের ছাপ শনাক্ত করে ভোটারদের ভোট দিতে সহযোগিতার নিয়ম ছিল এ নির্বাচনে। অভিযোগ রয়েছে, এক শতাংশের বেশি ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘‘কমিশনের কাছে এ ধরনের কোনো অনুরোধ আসেনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে করতে পারে, দুইটা-একটা কেন্দ্রে হয়তো করতে পারে।

‘এখানে ভোটার আছে ৪০০, সেখানে চার জনের বেশি আঙুলের ছাপ মিলছে না। এরকম অভিযোগ এক হাজার কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্র থেকেও এসেছে বলে আমি শুনিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- এক শতাংশের বেশি অনুরোধ এসেছে কি না? তারা বলেছেন, আসেনি।’’

নির্বাচন আপনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, জানি না। নির্বাচন করার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তার পরিবেশ একেবারে ৯৯ দশমিক ৯৯ ছিল। বাকি পয়েন্ট জিরো জিরো নিয়ে যদি আপনারা কিছু বলতে পারেন।

‘তবে মারামারির কিছু ঘটনা আমরা পরে শুনেছি। নির্বাচনের পরে শুনেছি যে, একই দলের মধ্যে হয়তো বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। তারা হয়তো হাতাহাতি করেছে। একেবারে যে ওখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া, ওরকম মারামারি কোথাও হয়নি।”

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয় হয়েছে। উত্তর সিটিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ