ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদে লড়াই করা ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবো। ব্যর্থ হয়েছি। তবে সিটি নির্বাচনে আমাদের অর্জনও কম নয়। আমরা নগরবাসী ও দেশবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, আজকে দেশে জনগণের কোনো মৌলিক অধিকার নেই।’
বুধবার গুলশান-১ এর ইমান্যুয়েল ব্যাংকুয়েট কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সিটি নির্বাচনের অনিয়ম, দখলদারিত্ব, হামলা, হয়রানিসহ নানা চিত্র বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ায় এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার। কিন্তু আমি এবার ব্যর্থ হয়েছি, সফল হতে পারিনি।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটির শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে নগরবাসীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে আমাদের নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কোনও বাধায় আমাকে দমাতে পারেনি।’
বাবা প্রয়াত খোকার স্মৃতিচারণ করে ইশরাক বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যেও আমার বাবার শেষ সময়ের দুঃখগুলো দেখতে পাই। তারপরও আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাসিমুখে টানা ২১ দিন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। ৬০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। এগুলো দেখে ক্ষমতাসীনরা নানা কূটকৌশলের চেষ্টা করেছেন। সকল কিছুতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের দিন তারা ভোটকেন্দ্রগুলো সকাল সকাল দখল করেছে।’
ইশরাক বলেন, ‘দিনশেষে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আমি হতাশ হয়েছি। আবার একটি আশা ছিল, তারা হয়তো জনগণের ভাষা বুঝতে পারবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু তারা আবারও দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিলো।’
খোকাপুত্র বলেন, ‘সবশেষে বলতে চাই, আমাদের অর্জন কম নয়। আমরা নগরবাসী দেশবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, তাদের মৌলিক অধিকার আজকে আর নেই। আমি আশা করি, দেশবাসী তার অধিকার রক্ষার জন্য আবারও সোচ্চার হবে। আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় রইলাম।’
ভোটের দিন শাসক শ্রেণির অন্যায় নির্দেশের কাছে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিসাইডিং অফিসরা অসহায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়াই করা ইশরাক।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রিসাইডিং অফিসারদের অনেকেই চেয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কিন্ত তারা শাসক শ্রেণির অন্যায় নির্দেশের কাছে সম্পূর্ণ অসহায় ছিলেন। তারা নিরুপায় হয়ে সরকারের অন্যায় নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
বুধবার গুলশান-১ এর ইমান্যুয়েল ব্যাংকুয়েট কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সিটি নির্বাচনের অনিয়ম, দখলদারিত্ব, হামলা, হয়রানিসহ নানা চিত্র বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আওয়াল।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ায় এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার। কিন্তু আমি এবার ব্যর্থ হয়েছি, সফল হতে পারিনি।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটির শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে নগরবাসীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে আমাদের নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কোনও বাধায় আমাকে দমাতে পারেনি।’
বাবা প্রয়াত খোকার স্মৃতিচারণ করে ইশরাক বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যেও আমার বাবার শেষ সময়ের দুঃখগুলো দেখতে পাই। তারপরও আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাসিমুখে টানা ২১ দিন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। ৬০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। এগুলো দেখে ক্ষমতাসীনরা নানা কূটকৌশলের চেষ্টা করেছেন। সকল কিছুতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের দিন তারা ভোটকেন্দ্রগুলো সকাল সকাল দখল করেছে।’
ইশরাক বলেন, ‘দিনশেষে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আমি হতাশ হয়েছি। আবার একটি আশা ছিল, তারা হয়তো জনগণের ভাষা বুঝতে পারবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু তারা আবারও দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিলো।’
খোকাপুত্র বলেন, ‘সবশেষে বলতে চাই, আমাদের অর্জন কম নয়। আমরা নগরবাসী দেশবাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, তাদের মৌলিক অধিকার আজকে আর নেই। আমি আশা করি, দেশবাসী তার অধিকার রক্ষার জন্য আবারও সোচ্চার হবে। আমি সেই দিনটির অপেক্ষায় রইলাম।’
ভোটের দিন শাসক শ্রেণির অন্যায় নির্দেশের কাছে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিসাইডিং অফিসরা অসহায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়াই করা ইশরাক।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রিসাইডিং অফিসারদের অনেকেই চেয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কিন্ত তারা শাসক শ্রেণির অন্যায় নির্দেশের কাছে সম্পূর্ণ অসহায় ছিলেন। তারা নিরুপায় হয়ে সরকারের অন্যায় নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালও বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।