২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২২

পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঁচ ম্যাজিস্ট্রেট দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

পরিবেশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে এক মাসের মধ্যে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে আদালতের তলবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাইকোর্টে হাজির হন।

গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডিজিকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ে আদালতের আদেশ আমাদেরকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। এত কিছুর পরও কেন দূষণ কমছে না, সে বিষয়ে একটি সেমিনার করেছি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানে তারা কিছু মতামত দিয়েছেন।

সে মতামতগুলো তিনি আদালতে পড়ে শোনান। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে গত বছরের ৯ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিল পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এর মধ্যে খুলনার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করে জন প্রশাসন। এ তথ্য আদালতকে জানানোর পর এক মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় আদালত।

এরপর আদালত বায়ূদুষণ রোধে বিশেষজ্ঞ মতামত এবং উচ্চতর কমিটির সুপারিশ নিয়ে একটি সমন্বিত কার্যক্রম তৈরি করে ১০ মার্চের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয়।

রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। এই রিটের ধারাবাহিকতায় ১৩ জানুয়ারি আদেশ দেয় আদালত।

এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।

ওইদিন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, রুলে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালুপ্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দু’বার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ আদেশ অনুসারে বিবাদীরা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। পরে এ নিয়ে দুই সিটির নির্বাহীকে তলবও করে হাইকোর্ট।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০ ২:১৪ অপরাহ্ণ