বরগুনা সংবাদদাতা : বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আরো ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমানের পৃথক আদালতে তারা সাক্ষ্যপ্রদান করেন। পরে আসামী পক্ষের ১০ আইনজীবি তাদের জেরা করেন।
আদালতের বরাত দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাকসুদা বেগম, সাইফুল ইসলাম মুন্না ও রাইয়ানুল ইসলাম শাওন এবং নারী-শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে সানজিদ হোসেন ও আজিজুর রহমান রণির জবানবন্ধি রেকর্ড করা হয়। তিনি আরো বলেন, জেলা ও দায়রা আদালতে ৩৪ এবং নারী-শিশু আদালতে ১৭ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিন্নিসহ ৯ আসামী ও নারী- শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিনে থাকা ৫ আসামীসহ ১৪জন উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে সাক্ষ্য শেষে মাকসুদা বেগম বলেন, আমরা নয়ন বন্ডের বাসায় ভাড়া থাকি। ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর বিকালে নয়ন ও মিন্নির বিয়ে হয়। বিয়ের মিষ্টি নয়ন বন্ডের মা শাহিদা বেগম আমাদের বিতরণ করেন। এছাড়াও আমি যতটুকু দেখেছি তা আদালতে বলেছি। আমি একটুও মিথ্যা বলিনি।
নয়ন বন্ডের বিয়ের স্বাক্ষী সাইফুল ইসলাম মুন্না ও রাইয়ানুল ইসলাম শাওন বলেন, আমরা নয়ন বন্ডের সাথে লেখাপড়া করি। নয়ন-মিন্নি ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর বিয়ে করে। ওই বিয়ের কাবিন নামায় আমরা স্বাক্ষর করি।
একই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সানজিদ হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ যেদিন খুন হয়েছে তার পরদিন বরগুনা ক্যালিক্স একাডেমির রাস্তা থেকে পুলিশ রক্ত মাখা চাপাতি উদ্ধার করে। আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি। আরেক স্বাক্ষী আজিজুর রহমান রণি বলেন, ঘটনার দিন ২৬ জুন সকালে রিফাত শরীফকে যারা কুপিয়েছে তা আমি দেখেছি। আমি যা দেখেছি তা আদালতে বলেছি। আমি কোন অসত্য কথা বলিনি।
আসামী পক্ষে আইনজীবী সোহরাফ হোসেন মামুন বলেন, আমার জেরায় আসামীরা হত্যা সঙ্গে সম্পৃক্ত তা প্রমাণ হয়নি।
আসামী মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আদালতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাাদের কেউ বলেননি মিন্নি রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে মিন্নি জড়িত ছিল। তাছাড়া আমরা কাবিন নামা চ্যালেঞ্জ করেছি।