স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলজীবনেই স্বাস্থ্য শিক্ষায় সচেতন করতে হবে। স্কুলজীবনে শিক্ষার্থীরা যা শেখে সারা জীবন সেগুলোকে কাজে লাগায়। সুতরাং স্কুলজীবনেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষায় সচেতন করে রোগমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর কর্তৃক আয়োজিত ‘স্কুল স্বাস্থ্য সচেতনতার শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্কুলজীবনের স্বাস্থ্য শিক্ষা দেশের আপামর স্বাস্থ্যখাতের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামে থাকা অনেক ছেলেমেয়েই জানে না হাত ধোয়া, টয়লেট ব্যবহারবিধি। তারা জানে না যেখানে সেখানে থু-থু ফেলার কুফল, হাচি-কাশিতে করণীয়, ছোটখাটো জ্বর-সর্দিতে ঘরোয়া চিকিৎসাবিধি, নিয়মিত ব্যায়াম করার উপকারিতা, সময় মতো খাবার গ্রহণের উপকারিতা, সময় মতো ঘুমানোর উপকারিতা, সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহারে ঝুঁকিসমূহ এবং বড়দের শ্রদ্ধা করার বিষয়ে এখনও পুরোপুরি সজাগ হতে পারেনি।
তিনি বলেন, কাজেই শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষার এ সব বিষয় সচেতন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিক্ষার তথ্য সমৃদ্ধ ও মানসম্পন্ন একটি স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সারওয়ার, যুগ্ম-সচিব আশরাফুন্নেছা প্রমুখ।