২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৫৩

ঢাকার ভোট স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি রবিবার

ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার।

বৃহস্পতিবার এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। অপরদিকর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস সাদিক।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ২২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ বিধান না থাকাটা বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা সিটি নির্বাচনের জন্য প্রথমে ৩০ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে তফসিল সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বিধি অনুসারে নির্বাচন পেছানো নিয়ে তফসিল সংশোধনের সুযোগ নেই, পুনরায় তফসিল দিতে হয়। ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ২৭ বিধি অনুসারে নির্বাচনের আগে দুই সিটি করপোরেশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। বিধি ১১(১) অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় গত ২০ জানুয়ারি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ৩১ জানুযারি পর্যন্ত সময় থাকলেও নতুন ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। বিধি মোতাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ হবে প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর হবে। বর্তমান মেয়রদের প্রথম সভা ২০১৫ সালের ১৭ মে হয়। সে হিসেবে তাদের মেয়াদ চলতি বছরের ১৭ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা। অথচ প্রায় ছয় মাস আগে নির্বাচনের তফসিল দেয়া হয়েছে। এ কারণে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৩, ২০২০ ১:৫৯ অপরাহ্ণ