নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলা হরিণাকুন্ড, মহেশপুর, শৈলকূপা, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও সদরে পাট চাষ গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে।মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের কৃষক শাজাহান জানান, গত বছর মাত্র ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন।কিন্তু এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। সদর উপজেলার আরেক কৃষক শামসুল হক জানান, বিঘাপ্রতি যদি ১০-১২ মণ হিসাবে উৎপাদন হয় তবে কমপক্ষে ৩২ মণ পাট তিনি পাবেন বলে আশা করছেন। এখন শুধু বৃষ্টির অপেক্ষা। শৈলকূপা উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম জানান, পাটকাঠি থেকে উৎপাদন খরচের বড় একটা অংশ আসে। ফলে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে পারেন। জেলা কৃসি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে ২৫ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৯৮৮ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় চার হাজার ২২৫ হেক্টরের মধ্যে চার হাজার ৬৫৫ হেক্টর, কালীগঞ্জে দুই হাজার ৫০০ হেক্টরের মধ্যে এক হাজার ৮৭৫ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে এক হাজার ৩০০ হেক্টরের মধ্যে এক হাজার ৩৯০ হেক্টর, মহেশপুরে ৬ হাজার ২৬০ হেক্টরের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, শৈলকুপায় ৮ হাজার ৮২৫ হেক্টরের মধ্যে ৮ হাজার ৯৯০ হেক্টর এবং হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় দুই হাজার ৮৩৫ হেক্টরের মধ্যে দুই হাজার ৮৫০ হেক্টরে পাটচাষ হয়েছে। আরও প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হবে বলে আশা করছেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক জানান, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহে বেড়েছে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা। সরকার পাট ও পাটজাত দ্রব্যের প্রতি আলাদা নজর দেয়ায় পাট চাষ বেড়েছে। আমরাও জেলা কৃষি বিভাগ সবসময় পাট চাষিদের পাশে আছি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ