ভেতর থেকে আলোর ব্যবস্থা করায় বরফের তৈরি জিনিসগুলো মোহনীয় দেখায়৷ হারবিন উৎসবের কিছু ভাস্কর্য রাতের বেলায়ও দেখতে পাওয়া যায়৷ এমন কিছু নেই যা বরফ দিয়ে তৈরি করা যায় না৷ প্রাসাদ, সেতু, আসল সাইজের গির্জা – সবই বরফ দিয়ে বানানো সম্ভব৷ উৎসবের কোনো কোনো টাওয়ারের উচ্চতা ৫০ মিটার পেরিয়ে গেছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।
প্রায় এক ডজন দেশের বরফ শিল্পী হারবিন ফেস্টিভ্যালের জন্য কাজ করেছেন৷ শীত শুরু হওয়ার পরপরই তারা কাজে নেমে পড়েন৷ ভাস্কর্য তৈরি জন্য প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার ঘনমিটার বরফ ব্যবহার করেছেন তারা৷ কষ্ট করে গড়ে তোলা এসব শিল্পকর্মের মেয়াদ থাকে মাত্র কয়েকদিন৷
বরফ শিল্পীসহ ১২ হাজারের বেশি মানুষের কয়েক সপ্তাহের পরিশ্রমের কারণে হারবিন উৎসব শুরু করা সম্ভব হয়েছে৷ এবার ৩৬তম বারের মতো এই উৎসবটি আয়োজিত হচ্ছে৷
এত বরফ কোথা থেকে আসে? উত্তর, সোঙহুয়া নদী থেকে৷ শীতে সেখানকার পানি জমে বরফ হয়ে যায়৷ সেগুলো কেটে হারবিন উৎসবে ব্যবহার করা হয়৷
হারবিন উৎসবে আসা দর্শকদের একাংশ বরফকে ভয় পান না৷ তাদের জন্যই উৎসবে সাঁতার প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ হারবিন বরফ উৎসবের আরেকটি অংশ গণবিবাহ৷ প্রতিবছর অনেকে সেখানে বিয়ের অপেক্ষায় থাকেন৷