চুক্তি সইয়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। অপরদিকে চীনা নেতারা একে ‘উইন-উইন’ চুক্তি অবহিত করে এটি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেছেন। খবর বিবিসির।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর চীন ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করবে।
চুক্তিতে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ২০১৭-র স্তরের উপরে ২০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি করার এবং মেধাস্বত্ব আইন জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে আরোপিত কিছু শুল্ক অর্ধেক করতে সম্মত হয়েছে।
তবে এই চুক্তির ফলে দুই দেশের বাণিজ্য বিরোধের তেমন একটা সমাধান হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দুই দেশের বাণিজ্য বিরোধ পুরোপুরি দূর করতে দীর্ঘ আলোচনা দরকার।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। একে অপরের পণ্যে বাড়তি শুল্কারোপের মাধ্যমে এই যুদ্ধের সূচনা করে। পরে কয়েক দফায় তা বৃদ্ধি করে দুই দেশ। দুই দেশের এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতেও।