হাইকোর্ট বিটিআরসির বকেয়া পাওনা দাবির ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে
১৩৮ কোটি টাকা পাঁচ মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন রবিকে। যার প্রথমটি আজ মঙ্গলবার জমা দিল রবি।
এ কিস্তি জমা দেওয়ার ফলে রবির ওপর থেকে সরঞ্জাম আমদানি ও প্যাকেজ অনুমোদনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা। উঠে গেলে বাধাহীন বিনিয়োগে যেতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্রামীণফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছেই। নিষেধাজ্ঞা তুলতে গত ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গ্রামীণফোনকে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের জন্য বলেন। এ জন্য গ্রামীণফোনের হাতে সময় আছে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নিরীক্ষা করিয়ে রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ও রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা দাবি করছে বিটিআরসি। গ্রামীণফোন ও রবি বরাবরই বলে আসছে, তারা নিরীক্ষার সঙ্গে একমত নয়।
এ টাকা আদায়ের পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণফোন ও রবির সরঞ্জাম আমদানি ও প্যাকেজ অনুমোদন বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। পাশাপাশি প্রশাসক বসাতে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপ আটকাতে দুই অপারেটরই আদালতে যায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে দুই অপারেটরের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা তুলতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে প্রথম কিস্তি দিল রবি।