ইরানের কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ইসমাইল কায়ানি। কেমন মানুষ, কেমন যোদ্ধা তিনি? জেনে নিন তার সম্পর্কে…
অতীত
৬৩ বছর বয়সি ইসমাইল কায়ানির জন্ম মাসাদ শহরে। ইরানের দ্বিতীয় জনবহুল শহর মাসাদ শিয়া মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।
সোলাইমানির দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর ইরানের কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নেন জেনারেল ইসমাইল কায়ানি। জানা গেছে, কুদস বাহিনীর প্রধান হিসেবে সোলাইমানি ইরানের পশ্চিমের দেশগুলোতে কাজ করতেন, কায়ানি ছিলেন উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে। সেখানে মাদক পাচার রোধে ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে নর্থ অ্যালায়েন্সকে সহায়তা করেছেন তিনি।
৪০ বছরের অভিজ্ঞতা
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশন গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গঠন করা হয়। পরের বছরই এই বাহিনীতে যোগ দেন কায়ানি।
ইরান-ইরাক যুদ্ধে ভূমিকা
কাসেম সোলাইমানির মতো তারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধে। সেই যুদ্ধের পরই কুদস বাহিনীতে যোগ দিয়ে আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সংলগ্ন সীমান্তে কাজ শুরু করেন।
‘আল্লাহ চান প্রতিশোধ’
জেনারেল সোলাইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েই ইসমাইল কায়ানি বলেছেন, ‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ চান আমরা শহিদ সুলেইমার হয়ে প্রতিশোধ নিই। নিশ্চিতভাবেই তা করা হবে।’’