২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:১৯

ধর্ষকের কিল-ঘুষিতে জ্ঞান হারান ঢাবি শিক্ষার্থী

ঢ‌াকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী আর্মি গলফ ক্লাব মাঠের কাছে পৌঁছালে মজনু পিছন থেকে গলা জড়িয়ে ধরে। তাকে ফুটপাতের মাটিতে ফেলে দেয়। চিৎকার করতে গেলে মজনু তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় আসামি মজনুর রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত ৫ জানুয়ারি  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম পৌঁছালে আসামি পিছনের দিক থেকে গলা জড়িয়ে ধরে। তাকে ফুটপাতের মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন আসামি মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।    গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট‌্যান্ডে র‌্যাব আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এরপর র‌্যাব-১  আসামিকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।’

আবেদনে আরো বলা হয়, ‘সে (আসামি) একজন অভ্যাসগত ধর্ষণকারী। আসামি প্রতিবন্ধী, পাগল,  ভ্রাম্যমাণ মহিলার সম্মতি ব্যতীত এ অনৈতিক কাজ করে আসছে। আসামি ভ্রাম‌্যমাণ অবস্থায় থাকে। তার স্থায়ী বসবাসের জায়গা নেই। ঘটনার দিন আসামি ভিকটিমকে একা পেয়ে তাকে জোর করে ধরে ফুটপাতের পাশে বন-জঙ্গলের ভেতরে ফেলে ধর্ষণ করে। মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, আসামির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহসহ অন্য কোনো ব‌্যক্তি জড়িত আছে কি না তা জানা এবং আসামি দেয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন। আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করা হয়নি। যেহেতু আসামি ভাসমান অবস্থায় থাকে, সেহেতু সে জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মামলা তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে।’

প্রকাশ :জানুয়ারি ৯, ২০২০ ৬:১১ অপরাহ্ণ