মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। এই হামলার ‘মারাত্মক প্রতিশোধ’ হিসেবে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। দুই দেশের মধ্যেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেওয়া হচ্ছে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি।
তবে বৃহস্পতিবার থেকে দুই পক্ষ থেকেই কিছুটা নমনীয়তার ইঙ্গিত মিলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে, তাহলে শান্তি স্থাপনেও তিনি প্রস্তুত।
ইরান যে নতুন কোনও হামলা চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছে তাকে ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তারা যে ক্ষান্ত দিয়েছে সেটা সবার জন্যই মঙ্গলজনক।’
ট্রাম্প বলেন, আমাদের সব সেনা নিরাপদে আছেন। তবে আমাদের সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সেনারা যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান থেমে গেছে; যেটা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও বিশ্বের জন্য ভালো।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অনেক শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও অস্ত্র আছে। তার মানে এই না যে আমাদের তা ব্যবহার করতে হবে। আমরা তা ব্যবহার করতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি আছে।
তবে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি না দিলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেন, ইরান আচরণ পরিবর্তন না করা পর্যন্ত নতুন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, সোলাইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়া হয়ে গেছে। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে প্রস্তুত।’
এছাড়া মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে যে, ইরান তাদের প্রক্সি বাহিনীকে কোনও হামলা না চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।