ভারতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে ২৪ ঘণ্টার চলছে। বিজেপি সরকারের ‘শ্রমিকবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই বন্ধ ডাকা হয়েছে।
বুধবার সকাল সকাল ৬টায় বন্ধ শুরু হয়। এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকরা রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে। খবর এনডিটিভির
দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো এই বন্ধ ডেকেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতা।
পাশাপাশি রয়েছে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) হামলা এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি বর্বরতার মতো ইস্যুগুলোও। ধর্মঘটে সামিল হয়েছে বিভিন্ন ছাত্র-যুব-কৃষক সংগঠনও।
সোমবার বাম সমর্থিক শ্রমিক সংগঠন সিটুর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও নয়টি শ্রমিক সংগঠন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বন্ধ সমর্থন করছে। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নীতি ও শ্রমিক আইনের ফলে ৮০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ইস্যুগুলো সমর্থন করলেও, ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসনকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার এই অবস্থানকে ‘দ্বিচারিতা’ বলছে সিপিএম। বামেদের অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূল বন্ধ বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।