দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হতে পারে। এতে শীতের কাঁপুনি আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, সারাদেশে মোটামুটি শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিমাংশে এবং নদী অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও একটু কমতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল বুধ ও পরদিন বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, মেঘ সরে যাওয়ায় সূর্যের আলো বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ স্থানে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে। তবে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি জানুয়ারি মাসে সারাদেশে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। প্রথম দফায় সোমবার থেকে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাঝারি মাত্রার একটি এবং মাসের শেষ সপ্তাহে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কষ্টে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষেরা। বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের মাত্রাও। এছাড়া ঘন কুয়াশা পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। সড়কেও রয়েছে যানবাহনের ধীরগতি।