চলতি মাস থেকেই পাওয়া যাবে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট)। প্রাথমিকভাবে ২২ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ।
তিনি বাসসকে জানান, ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইস ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন।
মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বলেন, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা শুরু হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, ই-পাসপোর্টের সূচনা দিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।
তথ্য মতে, জার্মানিতে ২ মিলিয়ন ই-পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে। ফলে আগে আবেদনকারীরা জার্মানির তৈরি পাসপোর্ট পাবেন। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডিআইপি এবং ভেরিডসের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
উল্লেখ্য, ই-পাসপোর্ট গত বছরের জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সে তারিখ কয়েক দফা পিছিয়ে যায়।
এর আগে ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট চালু হবে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর। বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।