সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক না একাধিক ব্যক্তি জড়িত তা নিশ্চিতে ওই ছাত্রীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান ওই ছাত্রী। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। রাতেই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবিতে মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা, যা আজও অব্যাহত আছে।
সকালে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়া ঢাবির ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের প্রধান করা হয় গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালমা রবকে। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ ও ইএনটিসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন বোর্ডে।
দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য ডিএনএ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ একজন নাকি একাধিক ব্যক্তি করেছে সেটি নিশ্চিত হতে এ পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
এদিকে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) সুদিপ্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় একজন জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।