তেহরানে বাবার জানাজায় অংশ নিয়ে জেইনাব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জেনে রাখো বাবার শাহাদাতের ফলে গোটা বিশ্বের প্রতিরোধ ফ্রন্টের মধ্যে মানবিকতা আরও বেশি জাগ্রত হবে। এখন থেকে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের স্ত্রী-সন্তানদেরকে তাদের স্বামী অথবা বাবার মৃত্যুর আশঙ্কায় প্রহর গুনতে হবে।
সোলাইমানির মেয়ে আরও বলেন, গোটা বিশ্ব দেখছে ইরাক ও ইরানের মানুষ কীভাবে তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ইরানি ও ইরাকি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এই শাহাদাতের ঘটনা দুই জাতির মধ্যে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করেছে, তারা চিরস্থায়ী বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।
জেইনাব আরও বলেন, বাবার মৃত্যু আমেরিকা ও ইসরায়েলের জন্য অন্ধকার দিন নিয়ে এসেছে।
এর আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে জেইনাব বলেছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহও সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবেন বলে তিনি নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন রকেট হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানি। তার মরদেহ শনিবার বিকালে ইরাক থেকে তেহরানে পৌঁছায়।মঙ্গলবার নিজ প্রদেশ কেরমানে তাকে দাফন করা হবে।