২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২৩

অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টিপাত শুরু, তবুও কাটছে না দাবানলের শঙ্কা

বিদেশ ডেস্ক : দাবানল কবলিত অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাপমাত্রাও কমেছে। সিডনি থেকে শুরু করে মেলবোর্ন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল জুড়ে শীতল বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি অংশে মৌসুমী বৃষ্টিপাতেরও খবর পাওয়া গেছে। তবে আবারও আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। রবিবার রাতে কর্মকর্তারা পূর্বাভাস দিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ তাপমাত্রা বাড়তে পারে।.

গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ার দাবানল সম্প্রতি মারাত্মক আকার ধারন করেছে।  নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে দাবানল শহরের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় হাজার হাজার মানুষ। অঙ্গরাজ্য দুটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই দাবানলে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে।

দাবানল কবলিত অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা বাড়লে ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসে আবারও বড় ধরনের দাবানল তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা। সোমবার সকালে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস ব্রেজিকলিয়ান বলেছেন, আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।

দাবানলে গৃহহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার বাসিন্দার কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডিস ব্রেজিকলিয়ান বলেন, ‘আজ সকালে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ হলো উদ্ধার তৎপরতা, নিশ্চিত করতে হবে যে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া মানুষেরা নিরাপদ আছে।

সোমবার সকালে দাবানল কবলিত এলাকায় আগুন কমে আসায় সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। তবে ভিক্টোরিয়ার করিয়োং এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের কসিউজকো ন্যাশনাল পার্কের দুটি স্থানে আগুন জ্বলছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার কমিশনার শেন ফিটজসিমনস বলেছেন, এই আগুনের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত গ্রীষ্মকালে তাপদাহের কারণে জঙ্গলে দাবানল পরিলক্ষিত হয়। স্থানীয়রা একে বলে থাকে বুশফায়ার। এই দাবানল কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে,টেলিভিশনের পর্দায় মাঝেমধ্যেই উঠে আসে তার করুণ চিত্র। আগুনের এই রোষের মুখে অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ। কখনও সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা অথবা দাবানলের পথে গাছ কেটে আগুন থামানোর চেষ্টাতেই অবলম্বন খোঁজেন স্থানীয়রা। সরকারিভাবে বিমান থেকে বিশেষ তরল মিশ্রণ ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করা হয়। তবে সে প্রচেষ্টা সব সময় সফল হয় না। একমাত্র প্রবল বৃষ্টিপাতেই এসব আগুন শান্ত হয়।

প্রকাশ :জানুয়ারি ৬, ২০২০ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ