২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০১

এ মাসেই দুটি শৈত্যপ্রবাহ

সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিন।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘ডিসেম্বরের শেষে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে আমরা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরে নেই। আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা ও ময়মনসিংহ ছাড়া সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে। তখন থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। ৬ জানুয়ারি থেকে শীতের তীব্রতা বাড়বে।’.

তিনি জানান, ‘জানুয়ারিতে দুটি শৈত্যপ্রবাহ হবে। ৩, ৪, ৫ জানুয়ারি বৃষ্টি হবে। এর পরেই শীত নামবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। এর মানে হচ্ছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে। আর ৬ এর নিচে নামলে তীব্র। জানুয়ারির শেষে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।’ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে শুধু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলেও তিনি জানান।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়বে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এলাকা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মধ্যম ধরনের শীত থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস পেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় ৭ লাখ ২১ হাজার ৮০০ পিস কম্বল পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০০ পিস কম্বল দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৬ জেলায় এক কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে−রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ।’

তিনি জানান, শিশুদের শীতবস্ত্র কেনার জন্য দেশের ২০টি জেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২০ জেলায় দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ টাকা। জেলাগুলো হচ্ছে−রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও সুনামগঞ্জ।

প্রতিমন্ত্রী জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলায় শুকনা ও অন্যান্য খাবারের দুই হাজার করে মোট ১৬ হাজার কার্টন দেওয়া হয়েছে। এসব কার্টনে প্রতি প্যাকেটে ১০ রকমের খাবার রয়েছে।

প্রকাশ :জানুয়ারি ২, ২০২০ ১:০০ অপরাহ্ণ