দেশে ৫৮ দিনে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। গত এক নভেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই হিসাব করা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৫২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ হাজার ১৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ হাজার ৮৯০ জন, রংপুর বিভাগে ৯ হাজার ৮২৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ৬২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৮১১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৭৩২ জন।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার শহর পঞ্চগড়ে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রান্তের সংখ্যা।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১১ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানিয়েছেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। এ হাসপাতালের ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের ভেতরে আলাদা করে একটি ঘরে ডায়রিয়া ইউনিটের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে, সেখানে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খুলনার আইডি হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালসহ ৯ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার শিশু। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত খুলনা শিশু হাসপাতালে ৩৭৮ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
খুলনা জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ঠান্ডাজনিত কারণে খুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ শীতের শুরুতে শীতকালীন এসব রোগ বেড়ে যায়। কিন্তু, জানুয়ারির দিকে গিয়ে এ সংখ্যা কমে আসে বলেই বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে।’
এর কারণ কী জানতে চাইলে ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘শীতের শুরুর এই সময়টায় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করে, শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করে পরিবর্তন হলে সমস্যা হয়, কিন্তু যখন এটা শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে ফেলে তখন এর প্রকোপ আবার কমতে থাকে।’
অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীর ‘ড্রাই’ হয়ে যায় আর শীতের বাতাসে রোটা ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি থাকে বলেই এসব অসুখের আক্রমণটা বেশি হয়।
অধিদফতর থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং যেসব এলাকায় শীত বেশি সেসব জেলায় মাইকিং করে এর সতর্কতা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, গরম কাপড় পরতে হবে।’ তবে শিশুদের বেলায় আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে জানিয়ে আয়শা আক্তার বলেন, ‘খাবারের আগে শিশুরা যেন অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয়, সেটা অভিভাকদের নিশ্চিত করতে হবে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শীতের সময় শিশু এবং বৃদ্ধরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সে হিসেবে শিশুদের রক্ষা করতে হলে গরম কাপড় পরাতে হবে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় নেওয়ার আগে মাথা এবং পা ঢেকে রাখতে হবে।’
ডায়রিয়া রোধের অন্যতম উপায় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো মন্তব্য করে ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বলেন, ‘বাচ্চাদের একদম ফুটানো পানি খাওয়াতে হবে, বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়ানো যাবে না। আর প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার যাকে বলা হয় সেসব খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।’
কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৫২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ হাজার ১৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ হাজার ৮৯০ জন, রংপুর বিভাগে ৯ হাজার ৮২৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ৬২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৮১১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ হাজার ৭৩২ জন।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রার শহর পঞ্চগড়ে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রান্তের সংখ্যা।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১১ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানিয়েছেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। এ হাসপাতালের ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের ভেতরে আলাদা করে একটি ঘরে ডায়রিয়া ইউনিটের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে, সেখানে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খুলনার আইডি হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতালসহ ৯ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার শিশু। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত খুলনা শিশু হাসপাতালে ৩৭৮ শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
খুলনা জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ঠান্ডাজনিত কারণে খুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ শীতের শুরুতে শীতকালীন এসব রোগ বেড়ে যায়। কিন্তু, জানুয়ারির দিকে গিয়ে এ সংখ্যা কমে আসে বলেই বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে।’
এর কারণ কী জানতে চাইলে ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘শীতের শুরুর এই সময়টায় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করে, শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করে পরিবর্তন হলে সমস্যা হয়, কিন্তু যখন এটা শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে ফেলে তখন এর প্রকোপ আবার কমতে থাকে।’
অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীর ‘ড্রাই’ হয়ে যায় আর শীতের বাতাসে রোটা ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি থাকে বলেই এসব অসুখের আক্রমণটা বেশি হয়।
অধিদফতর থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবং যেসব এলাকায় শীত বেশি সেসব জেলায় মাইকিং করে এর সতর্কতা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডা. আয়শা আক্তার বলেন, ‘সেই সঙ্গে আক্রান্ত হয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, গরম কাপড় পরতে হবে।’ তবে শিশুদের বেলায় আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে জানিয়ে আয়শা আক্তার বলেন, ‘খাবারের আগে শিশুরা যেন অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয়, সেটা অভিভাকদের নিশ্চিত করতে হবে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শীতের সময় শিশু এবং বৃদ্ধরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সে হিসেবে শিশুদের রক্ষা করতে হলে গরম কাপড় পরাতে হবে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় নেওয়ার আগে মাথা এবং পা ঢেকে রাখতে হবে।’
ডায়রিয়া রোধের অন্যতম উপায় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো মন্তব্য করে ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বলেন, ‘বাচ্চাদের একদম ফুটানো পানি খাওয়াতে হবে, বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়ানো যাবে না। আর প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার যাকে বলা হয় সেসব খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে এবং হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।’