বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র সরকার বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, চরম অসুস্থতায় হাসপাতালে বেডে শুয়ে বেগম খালেদা জিয়ায় কাতরালেও সেখানে ডাক্তার যান না। তাকে ওষুধও দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, দীর্ঘ এক মাসের বেশী সময় পর কারারুদ্ধ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের দেখা করতে দেয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল পাননি তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করাটাই এই সরকারের অভিপ্রায়। বাস্তবে তাই হতে চলেছে এখন।
বেগম খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তিনি বর্তমানে ভয়াবহ জীবন মৃত্যুর সংকটের মধ্যে রয়েছেন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন না। খেতে পারছেন না। হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জয়েন্টগুলো শক্ত ও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে হাইলি অ্যাক্টিভ ডিফরমিং, রেমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বেশ কয়েকটি রোগ চরম আকারে পৌছেছে। তীব্র অসুস্থতায় কাতরালেও ডাক্তার আসেন না। ডাক্তার ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছেন না।
বেগম খালেদা জিয়া রাতে ঘুমাতে পারেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসুস্থতায় খালেদা জিয়া রাত্রে ঘুমাতে পারেন না। ফাস্টিংয়ের তার সুগার থাকছে-১৪। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. শামীম এবং ডা. মামুনকে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যেতে দেয়া হচ্ছে না। বাস্তবে দেশনেত্রীর কোনো চিকিৎসায়ই হচ্ছে না এবং ওষুধও দেয়া হচ্ছে না।