এর আগে তাদের রিপোর্ট ছিল, গত নভেম্বরে ইরানে ২০৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। কিন্তু অ্যামনেস্টির সংশোধিত রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি তখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনদিন ধরে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ইরানে।
অ্যামনেস্টি তাদের রিপোর্টে বলেছে, তারা ভিডিও বিশ্লেষণ করে এবং লোকের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। গত ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বর রেভলিউশনারি গার্ড ও মিলিশিয়া কী ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালিয়েছে সেই তথ্য তাদের কাছে আছে। বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে মাথায়, বুকে, গলায় গুলি করার ফলে। তাই বোঝা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়েই গুলি চালিয়েছিল। তারপর লোকে যাতে এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার না হয়, সেজন্য তারা ব্যাপক ধরপাকড় করে।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ‘১৫ নভেম্বর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পরেই হাজার হাজার প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ছাত্ররাও ছিলেন। যাতে তাদের এই দমনের কথা লোকে জানতে না পারে সেজন্যই এত লোককে গ্রেফতার করা হয়। কিছু লোককে হাসপাতাল থেকে ধরা হয়েছিল, আটক থাকা অবস্থায় তাদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিলে ইরানে তেলের দাম বাড়ায় সরকার। এরপরই এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।