নভেম্বরেই এমসিবি বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল, ‘দেশটিতে যে ইসলাম বিদ্বেষ রয়েছে সেটি তিনি পুরোপুরি নাকচ করে দিচ্ছেন এবং সে ব্যাপারে শঠতার আশ্রয় নিচ্ছেন।’ তাদের অভিযোগ বরিস জনসনের দল ‘ইসলাম বিদ্বেষ’কে বৈধতা দিয়েছে, তা বাড়তে সাহায্য করেছে এবং এই ধারার বর্ণবাদ নির্মূল করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরআগে জনসন এক প্রবন্ধে বোরকাকে ‘নিপীড়নমূলক’ পোশাক আখ্যা দিয়েছিলেন। নির্বাচনে সেই জনসনের নিরঙ্কুশ জয়ের পর কনজারভেটিভ পার্টির মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ড স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এমসিবি। নির্বাচনি প্রচারের সময় উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে দলকে পরিশুদ্ধ করার প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানায় ওই সংগঠন।
শুক্রবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে এমসিবির সেক্রেটারি জেনারেল হারুন খান বলেন, ‘জনসন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন। তবে এতে দেশজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন পার্টির ধর্মীয় গোঁড়ামির বিষয়টি আমরা নির্বাচনি প্রচারের সময়ও দেখেছি। ওই ইসলামভীতির বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। জনসনের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা ন্যস্ত হয়েছে। আমরা প্রার্থনা করি, সব ব্রিটিশের জন্য যেন এটা দায়িত্বশীলভাবে পালন করা হয়।’
২০১৯ সালের নির্বাচনি প্রচারকে সবচেয়ে ‘বিভাজনমূলক জীবন্ত স্মৃতি’ উল্লেখ করে ওই সংগঠন বলছে, ‘আমরা ভাবতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যবদ্ধ এক জাতি গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা আন্তরিকভাবে এটাই আশা করি। আমরা দেশকে পরিশুদ্ধ করতে এবং সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে একতা আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অবশ্য জোরালো করবো।’