শনিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন অভিযোগ করে বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। সেই কারণেই আসল রহস্য ফাঁস হওয়ার ভয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরকে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আজ (শনিবার) বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের জন্য অনুমতি ছিল। আকস্মিকভাবে বেলা ২টার সময় অনুমতি বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। পরিবারের স্বজনরা যখন সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন রাস্তার মধ্যেই জানতে পেরেছেন যে, আজকের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে- উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সাক্ষাত দেয়া হয়নি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল আউয়াল খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের দেখা করতে না দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা বলতে চাই- এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে? জেল কর্তৃপক্ষ বলেন যে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। কত উচ্চতায় তিনি অবস্থান করেন। এটি জেল কর্তৃপক্ষ না জানলেও জনগন তা ভালোভাবেই জানেন যে, জেল কর্তৃপক্ষের প্রভুরাই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার আদালতকে দিয়ে যার নির্দেশে দেশনেত্রীর জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে সেই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খালেদা জিয়ার স্বজনরা অনুমতি থাকার পরেও দেখা করতে পারলেন না। এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষ মূলত ক্ষমতাক্ষুধায় অস্থির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিতসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনরা সাক্ষাত করেন।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ বন্দির সাথে ৭ দিন পরপর দেখা করার সুযোগ থাকে। স্বজনদের ৭ দিন পরপর সাক্ষাতের জেলের বিধান আছে। আমরাও সেটি পেয়েছি। সেখানে মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা করার সেই অধিকারটুকু এই সরকার দিচ্ছে না, স্বজনদেরকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কত নিষ্ঠুর-জুলুমবাজ হলে পরে একটি সরকার একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে তিলে তিলে নিপীড়ন করতে পারে-এটি পৃথিবীর আর কোথাও দৃষ্টান্ত আছে বলে আমার জানা নেই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানান রিজভী। ঢাকায় হবে থানায় থানায়।