বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের আদেশের পরপরই বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। অবশ্য পুলিশের ধাওয়ায় মিছিল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
বাংলামটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, মহানগর পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বিক্ষোভ করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি ও অসুস্থ বেগম জিয়ার জামিন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার পরও নির্যাতনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম জিয়াকে তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার জামিন থেকেই কেবল বঞ্চিত করছে না, বরং শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ একজন বয়স্কা নারীকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, আজকে জনগণের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা মনে করি সরকারের হস্তক্ষেপেই আদালত তা খারিজ করলেন। প্রকৃত অর্থে এই আদেশের মাধ্যমে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হল।
রিজভী বলেন, আমি বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই-এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সব বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। সরকার যদি জনরোষ থেকে বাঁচতে চায় তাহলে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নইলে জনরোষের থাবা থেকে রেহাই পাবে না বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী। আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।