একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক নেতা রাজশাহীর মো. আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতান ওরফে টিপু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া এলাকায় নিরীহ মানুষকে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটতরাজ, আটক ও অপহরণসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল এ আসামির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এ দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় টিপু রাজাকার জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘ’ পরবর্তীতে ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে অবসরে যান।
দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৪ সালের ১০ আগস্ট এই চিহ্নিত রাজাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি ছাড়া পান। ১৯৮৪ সালের পর সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় মতিহার থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।