আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলভিত্তিক একটি রহস্যময় গোষ্ঠীর ২১টি ফেসবুক পেজে প্রতি সপ্তাহে এক হাজারের বেশি ভুয়া খবর পোস্ট করা হয়
একটি ব্যাপক আন্তর্জাতিক অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের দুই মুসলমান নারী সদস্য; যা দিয়ে আর্থিক সুবিধা অর্জনসহ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পাতায় ইসলামবিদ্বেষ ছড়াতে ব্যবহার করছেন অতি উগ্র ডানপন্থীরা। গার্ডিয়ানের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ইসরাইলভিত্তিক একটি রহস্যময় গোষ্ঠীর ২১টি ফেসবুক পেজে প্রতি সপ্তাহে এক হাজারের বেশি সমন্বিত ভুয়া খবর পোস্ট করা হচ্ছে। এ পেজগুলোতে বিশ্বজুড়ে তাদের ১০ লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে। এসব ফেসবুক পেজের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে বলেও খবরে দাবি করা হয়েছে।
ইলহান ওমর মিনেসোটা থেকে ও রাশিদা তালিব মিশিগান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য হওয়া প্রথম মুসলমান সদস্য হলেন তারা। এবার তারা সমন্বিত নোংরা হামলার শিকার হচ্ছেন বলে খবরে বলা হয়েছে। সোমালি-বংশোদ্ভূত ইলহান ওমরই সবচেয়ে বেশি সমালোচনা ও হামলার শিকার হচ্ছেন। বছর দুয়েক আগে শুরু হওয়া এই নেটওয়ার্কের এক হাজার চার শ’ পোস্টে তাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। আর রাশিদা তালিবের নাম জড়ানো হয়েছে এক হাজার ২০০ পোস্টে। স্কোয়াড নামে পরিচিত ওমেন অব কালার নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য হলেন ওমর আর তালিব।
তাদের মধ্যে নিউ ইয়র্কের আলেক্সান্ড্রিয়া ওকাসিও-কোর্টেজ ও ম্যাসাচুসেটসের আয়ান্না প্রেসলিও রয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে তারা বহুবার বর্ণবাদী হামলার শিকার হয়েছেন। ইসরাইলভিত্তিক একটি রহস্যময় গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রিয়া, ইসরাইল ও নাইজেরিয়াজুড়ে ২১টি উগ্র ডানপন্থী ফেসবুক পেজের যোগাযোগ সম্পর্কে তথ্য বের করতে পেরেছে গার্ডিয়ান।
উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্প্রসারিত করতে এসব পোস্টে ইসলামবিদ্বেষ উসকে দেয়া হচ্ছে। মুসলমান ও বামপন্থী রাজনীতিবিদদের নামে এতে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। বিকৃত খবর ও মিথ্যা রটনার মিশ্রণে এসব পেজে পোস্ট দেয়া হচ্ছে বলে গার্ডিয়ানের খবরে জানানো হয়েছে। কুইনসল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল গাণমাধ্যম গবেষণা কেন্দ্রের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ফেসবুক পেজজুড়ে এসব প্রকাশনায় একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান জড়িত।
ইসরাইলি তেলআবিব শহরের উপকণ্ঠে বসবাস করা ত্রিশের কাছাকাছি বয়সের একজন গয়না বিক্রয়কর্মী এবং অনলাইন অপারেটর এরিয়াল এলকারাসকে মূল ভূমিকায় দেখতে পেয়েছে গার্ডিয়ানের তদন্ত। ডোমেন নিবন্ধন তথ্য ও ওয়েব আর্কাইভিং সেবা ব্যবহার করে ব্রিটিশ গণমাধ্যেম এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।