সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই আমরা অনলাইন পত্রিকাগুলোর নিবন্ধন দেয়া শুরু করব। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন চলবে। কারণ প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। তাই এতো পত্রিকার ইনভেস্টিগেশন সহজ কাজ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনলাইন পত্রিকাগুলোর নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। ৩ হাজার ৫১৭টি আবেদন পড়েছিল। সেগুলো আমরা পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে আমরা স্বরাষ্ট্র, টেলিকম ও আইসিটি মন্ত্রণালয় একাধিক সভায় মিলিত হয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলাম, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে অনলাইন পত্রিকাগুলোর সার্বিক চিত্র আমাদের জানানোর। যাতে করে আমরা নিবন্ধনের কাজ শুরু করতে পারি।
মন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আগামীকালের মধ্যে যে কয়েকশ অনলাইনের তদন্তকাজ শেষ করেছে সেগুলো পাঠিয়ে দেবে।
তিনি জানান, প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যেগুলো নিবন্ধিত হবে না সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেউ চাইলে অনলাইন পত্রিকা চালু করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুমোদন নিয়েই করতে হবে। এখন যেমন একটি দৈনিক পত্রিকা বের করতে নামের ক্লিয়ারেন্স এবং একটি অনুমতি নিতে হয় ঠিক একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীতে অনলাইন পত্রিকা চালু করতে হবে।’
আগের মত কাউকে নাম সর্বস্ব অনলাইন পত্রিকা করতে দেয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে বসে কয়েকজন মিলে একটা অনলাইন পত্রিকা চালু করে দেয়। নিবন্ধনের পর থেকে এভাবে আর অনলাইন পত্রিকা চালানো যাবে না। কাউকে করতে দেয়া হবে না।’