২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৩১

হোসনা এখন সৌদি পুলিশের হেফাজতে

হোসনা নাজরানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভিডিও বার্তায় দেশে ফেরার আকুতি জানান। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) শ্রম উইংয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহকর্মী হোসনাকে উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে তার পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ না থাকায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তার পাসপোর্ট নম্বর এবং বাংলাদেশি এজেন্সির নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর বাংলাদেশি এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হোসনা সৌদি রিক্রুটিং অফিস রুয়াদ নাজরানের (লাইসেন্স নং-৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে তিন মাস আগে সৌদিতে এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে সৌদি এজেন্সির নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করার পর তাৎক্ষণিকভাবে কনস্যুলেট নাজরান পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রতিনিধি সৌদি এজেন্সির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। সৌদি এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, হোসনা বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে সেফ হোমে রয়েছেন। তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কনস্যুলেট প্রতিনিধিও হোসনার সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নজরে আসে। এরপর সৌদিতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের  দাবি অনুযায়ী তাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেদ্দা দূতাবাস।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া পঞ্চগড়ের সুমি আক্তার গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলেন। সম্প্রতি তাকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত এনেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

প্রকাশ :নভেম্বর ২৬, ২০১৯ ৩:০৭ অপরাহ্ণ