রবিবার ভোররাতে উপজেলার পূর্ব কধুরখীলে তিনটি বন্যহাতির আক্রমণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বন্যহাতির পাল তাণ্ডব চালিয়ে কয়েকটি গ্রামের অন্তত আটটি বাড়ির ক্ষতি করেছে। এছাড়া ফসলের জমিও নষ্ট করে।
হাতির আক্রমণে নিহতরা হলেন খরনদ্বীপের আবদুল মাবুদ, পোপাদিয়ার জাকের মাস্টার ও কদুরখিলের এলাকার তাহের মিস্ত্রী।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, শনিবার করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে নয়টি হাতির একটি পাল বোয়ালখালীর লোকালয়ে চলে আসে। সারাদিন বিচরণ শেষে রাতে হাতির পালটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। রবিবার ভোররাতে পূর্ব কধুরখীল গ্রামে তিনটি হাতি তাণ্ডব চালায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৬টায় মধ্যম কধুরখীল গ্রামের চৌধুরীহাট বাজারে সোলতান কমপ্লেক্সের পাশের জমিতে কাজ করার সময় হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মারা যান আবু তাহের। একই স্থানে হাতির আক্রমণে আরও একজন মারা যান। সকাল ৭টায় বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করার সময় হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত জাকেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।