দেশজনতা অনলাইনঃ চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনে লিকেজের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এমন কোনও তথ্য পায়নি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমেডেট (কেজিডিসিএল)। কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা সারাদিন ঘটনাস্থলে থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। পরে রবিবার সন্ধ্যায় ওই তথ্যের আলোকে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আমরা তদন্তে গ্যাস লাইনের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এমন কোনও প্রমাণ পাইনি। ওই বাসার কোনও আসবাবপত্র পোড়া ছিল না। রান্নার চুলাও একই অবস্থায় ছিল। গ্যাস লাইনের কারণে হলে অবশ্যই আগুন ধরতো। আমাদের ধারণা, সেপটিক ট্যাংকের মিথেন গ্যাসের কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক স্কুল শিক্ষিকাসহ সাত জন নিহত হন। আহত হন ১০ জন। নিহতদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও একজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘গ্যাসের লাইন লিকেজ নাকি সেপটিক ট্যাংকের মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে বাসার কোনও আসবাবপত্রে পোড়ার চিহ্ন পাইনি।’
পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি আরও বলেন, ‘আমরা বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে যে বাসায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, ওই বাসার বাসিন্দা কাজল নাথের ছেলে অর্ণব, আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সব খতিয়ে দেখছি।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ভবনের নিচতলার কাজল নাথের বাসা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার সময় কাজল নাথ ও তার স্ত্রী মণি দে বাসায় ছিলেন না। তখন বাসায় তার ছেলে অর্ণব, মেয়ে অর্পিতা ও স্ত্রীর বড় বোন সন্ধ্যা রানী ছিলেন। তাদের মধ্যে অর্পিতা ও সন্ধ্যা রানী আহত হন।
কাজল নাথ গত ১০ বছর ধরে এই বাসায় থাকছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী সবুজ শঙ্কর নাথ। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসা থেকে বের হয়ে দেখি বিস্ফোরণের ঘটনায় কাজল নাথের মেয়ে অর্পিতা ও তার পিশি সন্ধ্যা রানী আহত হয়েছেন। আমাদের পাশের ‘সাঝের মায়া’ ভবনের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া নিহত হয়েছেন। শুনেছি আরও ৫/৬ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারিনি। তাদের অনেকে পথচারী ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেডএম শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে এই কমিটিতে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন ও সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটিতে আরও দুই সদস্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য পূর্ণচন্দ্র মুৎসু্দ্দি। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আরও দুটি সংস্থার দুই প্রতিনিধিকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এরমধ্যে বিস্ফোরক অধিদফতর থেকে একজন, অন্যজন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। এ নিয়ে বর্তমানে তদন্ত কমিটিতে সাত জন সদস্য রয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে একটি নগর পুলিশের পক্ষ থেকে, অন্যটি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমেডেটের (কেজিডিসিএল) পক্ষ থেকে। দুটি তদন্ত কমিটির মধ্যে ইতোমধ্যে কেজিডিসিএল গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
অন্যদিকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে নগর পুলিশ গঠিত তদন্ত কমিটি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখছি। পাশাপাশি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যারা আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। আশপাশের যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।’
নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসানকে প্রধান করে গঠিত ৩ সদস্যের এই কমিটির অপর সদস্য হলেন নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক স্কুল শিক্ষিকাসহ সাত জন নিহত হন। আহত হন ১০ জন। নিহতদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও একজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘গ্যাসের লাইন লিকেজ নাকি সেপটিক ট্যাংকের মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে বাসার কোনও আসবাবপত্রে পোড়ার চিহ্ন পাইনি।’
পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি আরও বলেন, ‘আমরা বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে যে বাসায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, ওই বাসার বাসিন্দা কাজল নাথের ছেলে অর্ণব, আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সব খতিয়ে দেখছি।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ভবনের নিচতলার কাজল নাথের বাসা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার সময় কাজল নাথ ও তার স্ত্রী মণি দে বাসায় ছিলেন না। তখন বাসায় তার ছেলে অর্ণব, মেয়ে অর্পিতা ও স্ত্রীর বড় বোন সন্ধ্যা রানী ছিলেন। তাদের মধ্যে অর্পিতা ও সন্ধ্যা রানী আহত হন।
কাজল নাথ গত ১০ বছর ধরে এই বাসায় থাকছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী সবুজ শঙ্কর নাথ। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসা থেকে বের হয়ে দেখি বিস্ফোরণের ঘটনায় কাজল নাথের মেয়ে অর্পিতা ও তার পিশি সন্ধ্যা রানী আহত হয়েছেন। আমাদের পাশের ‘সাঝের মায়া’ ভবনের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া নিহত হয়েছেন। শুনেছি আরও ৫/৬ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারিনি। তাদের অনেকে পথচারী ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেডএম শরীফুল ইসলামকে প্রধান করে এই কমিটিতে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন ও সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটিতে আরও দুই সদস্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য পূর্ণচন্দ্র মুৎসু্দ্দি। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আরও দুটি সংস্থার দুই প্রতিনিধিকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এরমধ্যে বিস্ফোরক অধিদফতর থেকে একজন, অন্যজন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। এ নিয়ে বর্তমানে তদন্ত কমিটিতে সাত জন সদস্য রয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে একটি নগর পুলিশের পক্ষ থেকে, অন্যটি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমেডেটের (কেজিডিসিএল) পক্ষ থেকে। দুটি তদন্ত কমিটির মধ্যে ইতোমধ্যে কেজিডিসিএল গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
অন্যদিকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে নগর পুলিশ গঠিত তদন্ত কমিটি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখছি। পাশাপাশি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যারা আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছি। আশপাশের যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।’
নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসানকে প্রধান করে গঠিত ৩ সদস্যের এই কমিটির অপর সদস্য হলেন নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ।