সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে মূলত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতটি বেশি ছিল। কিন্তু এ আঘাতে সুন্দরবনের মারাত্মক কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও পশু-প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আলামত এখানে পাওয়া যায়নি। তবে, পশ্চিম বিভাগে ৪ হাজার ২টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৯শ’ টাকা। আর অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, গাছপালার যে ক্ষতি তা সুন্দরবন নিজেই পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবে। সে জন্য সুন্দরবনকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপগুলো নিতে শুরু করেছি।
তিনি আরও জানান, বুলবুলের আঘাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি ফরেস্ট স্টেশনের ঘর, কদমতলার এফজি ব্যারাক ও রান্নাঘর, কাঠেশ্বর অফিসের ছোট ট্রলার এবং রান্নাঘর, কোবাদক স্টেশনের কাঠের ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের জেটি, ব্যারাক ও রান্নাঘর, চুনকুড়ি স্টেশনের সোলার প্যানেল, দোবেকি টহল ফাঁড়ির ৪০ ফুট দীর্ঘ পন্টুন, নলিয়ান রেঞ্জ অফিসে যাতায়াতের রাস্তা ও অফিস ঘিরে থাকা গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বুলবুলের আঘাত পূর্ব সুন্দরবনে তেমন একটা ছিল না। তারপরও যাচাই-বাছাই করে পূর্ব সুন্দরবনে ৫৮৭টি গাছপালা ক্ষতির আলামত পাওয়া গেছে। বন্য পশু-পাখির কোনও ধরনের ক্ষতির আলামত পাওয়া যায়নি। আর পূর্ব বিভাগে বন বিভাগের অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বুলবুলের আঘাতে বনের মধ্যে ৬টি আবাসিক ভবন, ১৭টি অনাবাসিক ভবন, ১০টি জেটি, ৩টি জলযান, ১৯টি অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।