আজ থেকে শুরু হওয়া পিএসসি পরীক্ষায় পটিয়া মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অ্যানি বড়ুয়া। পরীক্ষাতে ডিউটি দিবেন বলে পছন্দের শাড়িটিও পরেছিলেন আজ তিনি। কিন্তু সেই শাড়ি পরে আর স্কুল পর্যন্ত যাওয়া হলোনা অ্যানির। আলিঙ্গন করতে হলো মৃত্যুকে।
রোববার চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে নিহত পথচারীদের তালিকায় নাম রয়েছে অ্যানি বড়ুয়ার (৪০)। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন।
অ্যানি বড়ুয়ার স্বামী প্রকৌশলী পলাশ বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জানান, আজ বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় অ্যানি পছন্দের শাড়িটি পরেছিল। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সকালে তার শাড়ির কুচিও ঠিক করে দিয়েছিলাম। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়েই অমানবিক মৃত্যু তাকে কেড়ে নিয়ে গেছে।
এই দুর্ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পলাশ বড়ুয়া বলেন, যাদের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক। পটিয়ার শিকলবাহায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত পলাশ বড়ুয়া জানান, তাদের দুই পুত্র সন্তান। বড় ছেলে অভিষেক এবার জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে পড়ছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
এদিকে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরনের ঘটনায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি ৭ দিনের মধ্যে বিস্ফোরণের কারণ উদ্ঘটান করে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।