ঘটনা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার। ওই উপজেলার হাটিকুমরুল জুনিয়র হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে দিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিয়েছেন ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক মো. ময়নুল হক মুকুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, এবারের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ওই স্কুল থেকে অংশ নিচ্ছে সাত শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ শহরের রজব আলী মেমোরিয়াল বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মো. শাকিল হোসাইন ও সলঙ্গার তিননান্দিনা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রধান শিক্ষক মো. ময়নুল হক মুকুল সাত শিক্ষার্থীকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন। এই সাতজনই প্রধান শিক্ষকের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ময়নুল হক বলেন, ‘স্কুলকে টিকিয়ে রাখতে আমি এমন পথ বেছে নিয়েছি।’
রজব আলী মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. এসএম সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘মো. শাকিল হোসাইন আমার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র, রোল-৮৬, শিক্ষাবর্ষ-২০১৯-২০। কিন্তু সে এমন কান্ড ঘটিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, এটি এক ধরণের প্রতারণা। একটি হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে মাত্র সাত পরীক্ষার্থী তাও আবার কলেজ ও অন্য স্কুলে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে। এটি নিয়মের মধ্যে পরে না।
পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো. হায়দার আলী বলেন, ‘বোর্ড থেকে দেওয়া প্রবেশপত্র ঠিক থাকায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমরা এক্ষুণি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি।’
রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শাহাদৎ হোসেন জানান, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।