শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীকে পিটুনির ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে নাহিদ ও আসিফসহ যারা পিটুনির ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের গ্রেপ্তার ও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, হল প্রশাসন নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ এবং গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করা।
ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। সোহরাবের মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। দুইজনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
হল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আসিফ লাকের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী সোহরাবকে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আসিফ ও হুমায়ন কবির নাহিদ। একপর্যায়ে স্বীকারোক্তি আদায়ে দুইজন সোহরাবকে রড দিয়ে পেটাতে থাকে। সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করেন।
পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও পরে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করেন।
সোহরাবের বন্ধু তনয় জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। তার মাথার তিন জায়গায় মোট ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার পায়েও গুরুতর জখম হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে ঘটনাটি জানার পর আমি সহকারী প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সোহরাবের বন্ধু জুবায়েরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সে সোহরাবের সঙ্গেই আছে।’