একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে প্রকাশ্য শুনানি চলছে, অন্যদিকে হোয়াইট হাউজে তুরস্কের প্রেসিডেন্টে রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে বৈঠক করলেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার দিনের শেষভাগে এরদোগান-ট্রাম্প বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চললেও এরদোগানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সর্বশেষ সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সাম্প্রতিক অভিযান ও রাশিয়া থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দূরত্ব আরো বাড়ে।
তবে বৈঠকে বেশ আন্তরিক পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। বৈঠক শেষ ট্রাম্প বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধু। একেবারে প্রথম দিন থেকে। আমারা একে অন্যের দেশকে ভালোভাবে বুঝতে পারি। আমরা কী অবস্থা থেকে এসেছি সেটিও বুঝতে পারি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা তাদের দেশ ও ওই অঞ্চলের অত্যন্ত সম্মানিত দম্পতি। উল্লেখ্য, সফরকালে তুর্কি ফার্স্ট লেডি আমিনা এরদগোনাও ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা অত্যন্ত চমৎকার ও ফলপ্রসূ একটি বৈঠক করেছি। ট্রাম্প বলেন, আশা করছি ন্যাটো সদস্য দেশদুটি তাদের মধ্যকার দূরত্ব দ্রুতই দূর করতে পারবে।
রাশিয়া থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের এই পদক্ষেপ আমাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, আমরা আজও এটি নিয়ে কথা বলেছি। আগামি দিনে আরো বলবো। আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আশা করছি আমাদের দুই দেশের মধ্যে যেসব দূরত্ব রয়েছে সেগুলো সংলাপের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারবো।