ফেসবুকের প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯৫টি অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় ১৫টি ও ৮০টি জরুরি অনুরোধে মোট ১৩০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৪৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে।
সরকারের জরুরি অনুরোধের ক্ষেত্রে ৪৮ শতাংশ তথ্য এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুরোধে ২০ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না। এবারের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে মোট ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭টি অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক। ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে ৫০ হাজার ৭৪১টি অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক।