দেশজনতা অনলাইন : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আর এক ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
‘নাকরি’ নামের এই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। দক্ষিণ চিন সাগরে এর উত্পত্তি। এ সাগরে সৃষ্ট মাতমো থেকেই ছিটকে গিয়ে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এখন নাকরি থেকেও এরকম কিছু হয় কি না সে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে বুলবুলের দাপটে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও আঘাত করার সময় এর শক্তি কমে গিয়েছিল।
নাকরিকে বলা হচ্ছে পাঁচ মাত্রার টাইফুন। এ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার। এটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। মঙ্গলবার স্কাইমেট ওয়েদার জানিয়েছে, ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ড-মিয়ানমার হয়ে নাকরি বঙ্গোপসাগরে এসে পড়বে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই ঝড় বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে। ভিয়েতনামের উপকূলে আঘাতের পর কিছুটা শক্তিক্ষয় হবে এর। এরপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মিয়ানমারের দক্ষিণ ভাগে এসে পৌঁছবে। এসময় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবে এটি।
মিয়ানমারের পর বঙ্গোপসাগরের ওপরে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগর থেকে ফের শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এটি। এরপর শক্তি বাড়িয়ে ভারতের দক্ষিণভাগে বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার দিকে যেতে পারে ‘নাকরি’। পাশাপাশি চেন্নাইসহ উত্তর তামিলনাড়ুতেও আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু এই ঝড় কবে নাগাদ ভারত ঢুকবে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। স্কাইমেট বলছে ১৪-১৬ নভেম্বর ভারতীয় উপকূলের দিকে যাবে। আর এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও।
প্রসঙ্গত, বুলবুলের দাপটে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন এলাকা।