সোমবার দুপুরে পর্যটকবাহী তিন জাহাজে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় টেকনাফ দমদিয়া ঘাট থেকে দ্বীপে আটকা পর্যটকদের ফেরত আনতে ফরহান, আটলান্টিক ক্রুজ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন তিন জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে এসব জাহাজে করে কোনও পর্যটক দ্বীপে যাননি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের আনতে সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে তিন জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে তিনটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে। বিকালে পর্যটকদের নিয়ে জাহাজগুলো টেকনাফ ঘাটে পৌঁছবেন।’
এ প্রসঙ্গে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, তার জাহাজে করে দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের আনতে টেকনাফ থেকে জাহাজ পাঠানো হয়েছে। পর্যটকরা বিকালে টেকনাফ পৌঁছবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, আটকা পড়া পর্যটকদের নিতে আসা জাহাজগুলো দুপুর ১টার দিকে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছে। দ্বীপে গত তিন দিন ধরে আটকা পড়া পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখা হয়েছিল। তাদের থাকা-খাওয়ার বিশেষ ছাড় দেয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সকালে সেন্টমার্টিন থেকে তিন ট্রলারে করে প্রায় দেড়শ পর্যটক টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ।