দেশজনতা অনলাইন : একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ ফলাফল বলছে, পৃথিবী এ মুহূর্তে জলবায়ু-সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী।
বিভিন্ন নিয়ামকের ৪০ বছরের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত এই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকটের বিষয়টি আমলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের দেশগুলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, বিশ্ববাসীকে জলবায়ুজনিত হুমকির মাত্রা কতটা ভয়াবহ তা জানানো তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।
সংকট মোকাবিলায় ছয়টি ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা। এগুলো হলো:
জ্বালানি : জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে কার্বনের ওপর চড়া দাম নির্ধারণে রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহকারী ও ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে তেল ও গ্যাসের বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
স্বল্পমেয়াদি দূষণকারী বস্তু : এগুলোর মধ্যে রয়েছে মিথেন, হাইড্রোফ্লুরোকার্বনস ও আগুনের তাপ থেকে সৃষ্ট কালির আস্তরণ। গবেষকরা বলছেন, এই উপাদানগুলোর ব্যবহার সীমিত করা গেলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদি উষ্ণায়ণ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রকৃতি : বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের আধিক্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বনভূমি ধ্বংস রোধ করে বনায়ন বাড়াতে হবে।
খাদ্য : খাদ্য তালিকায় নিরামিষের আধিক্য নিশ্চিত করে প্রাণীজ খাদ্যগ্রহণ কমাতে হবে। খাবার নষ্ট করা কমিয়ে আনতে হবে।
অর্থনীতি : কার্বনভিত্তিক জ্বালানি নির্ভরতার বিকল্প উপায় বের করতে হবে।
জনসংখ্যা : বিশ্বে বর্তমানে প্রতিদিন দুই লাখ শিশুর জন্ম হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।