চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের কর্মচারীদের দায়ের করা পাঁচ মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এরমধ্যে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। বাকি দুটি মামলায় আগাম জামিন নেন তিনি।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে মামলার চার্জ গঠনের দিন ড. ইউনূসকে আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন আদালত। প্রত্যেক মামলায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন দেওয়া হয়।
জামিন মঞ্জুরের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহমুদ জব্বার খান আইনজীবীর মাধ্যমে আগামীতে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চেয়েও আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, ‘অভিযোগ গঠন শুনানির দিন তাকে (ড. ইউনূস) উপস্থিত থাকতে হবে।’
এর আগে ২৮ অক্টোবর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। একই সঙ্গে, বিমানবন্দরে নামার পর থেকে তাকে এই সময়ের মধ্যে (৭ নভেম্বর পর্যন্ত) গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ওই ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার এ আদেশ দেন।এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে সময় চেয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে আবেদন করা হয়।