বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মাহবুব হোসেন এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘তার (এটিএম আজহার) বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কোনও অভিযোগ ছিল না। তিনি কখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তখন ১৮ বছরের যুবক এবং কলেজের ছাত্র ছিলেন। সব অপরাধ পাকিস্তানি আর্মি সংগঠিত করেছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এটিএম আজহারুল ইসলামের সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।
এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ছয় নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয় তাকে। এছাড়া, এক নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।