দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। সোমবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রস্তাবে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানান বরিস জনসন। এর আগে কয়েকবার পার্লামেন্টে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব উত্থাপন করলে আইন প্রণেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে মঙ্গলবার ব্রিটিশ এমপিরা এই প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটিকে হাউস অব লর্ডসে অনুমোদিত হবে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হতে পারে। যদি এমনটি ঘটে তাহলে ভোটের দিনের আগ পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা হবে।
পার্লামেন্টে ভোটের আগে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবে সম্মতির কথা জানিয়েছিলেন। করবিন বলেন, আমি বরাবরই বলে এসেছি যে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আর আমাদের সমর্থনের বিষয়ই ছিলো চুক্তিহীন ব্রেক্সিটকে আলোচনার বাইরে রাখা। তিনি বলেন, আমরা এখন সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও আমাদের দেশের এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে সত্যিকার পরিবর্তনের জন্য মৌলিক প্রচারণা চালাব।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলে আসছেন, ব্রেক্সিট ও দেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে জনগণকে তাদের মত জানানোর সুযোগ রাখা উচিত। তার আশা, নতুন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তি ও পার্লামেন্টের চলমান অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য জনগণের শক্তিশালী মেন্ডেট পাবেন।