দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠি সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়।
দুদকের পাঠানো চিঠিতে অভিযুক্তদের কয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, অ্যাকাউন্টে কত টাকা, কবে কখন কার কার সঙ্গে লেনদেন হয়েছে।
শাওন ও শামশুল ছাড়াও যাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান সেলিম, যুবলীগ দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ, কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক।
গত মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে নামে। অভিযানে ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ততায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ অনেক নেতার নাম উঠে আসে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে।
সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে এসব তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়। পাশাপাশি র্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে বিপুল গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।