গ্রেপ্তার নজরুল মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা টাইমসকে ওসি সাখাওয়াত বলেন, রাতে দক্ষিণ সাকুচিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
গণধর্ষণে অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- মো. শাহীন, মো. কিরণ, রাসেদ পালোয়ান ও স্পিডবোট চালক রিয়াজ উদ্দিন। তাদের বাড়ি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত শনিবার ওই গৃহবধূ তার আড়াই বছরের শিশুকে নিয়ে মনপুরা যাওয়ার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে যান। কিন্তু তার আগেই মনপুরাগামী লঞ্চ চলে যাওয়ায় তিনি স্পিডবোটে চড়েন। বোটে আরও দুজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। পথে জনতার খালপাড় থেকে আরও দুজন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি মনপুরার দিকে যেতে থাকে। কিছুক্ষণ পর পুরুষ চার যাত্রী চালককে জোর করে স্পিডবোটটি চর পিয়ালে থামান। এরপর ওই নারীকে চরের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
স্পিডবোটের চালক মো. রিয়াজ মালিক নজরুল ইসলামকে ঘটনা জানালে তিনি অন্য একটি স্পিডবোটে চর পিয়ালে যান। নজরুল ওই চার যাত্রীকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে তিনি ওই গৃহবধূকে আবার চরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তখন ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করা হয়। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন নজরুল।
বাগানের রাখালদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অলিউল্যাহ কাজল সন্ধ্যায় চর পিয়াল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা থানায় নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে গতকাল দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।