কিন্তু সিনেমা বানাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে তিনি এখন জীবিকার তাগিদে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করছেন।
জানা গেছে, বাবার পেনশনের টাকা, জায়গা-জমি, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে ৭০ লাখ টাকায় ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণ করে লগ্নিকৃত টাকা তুলতে না পেরে চাকরির আশায় নানাজনের কাছে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে মাস দুয়েক আগে মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নিয়েছেন।
অরণ্য পলাশ জানান, কয়েক বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন। ছবির মূল প্রযোজক সরে যাওয়ায় নিজের প্রযোজনায় ছবিটির নির্মাণ শেষ করেন।
তিনি জানান, অর্থের অভাবে ছবিটি মুক্তি দিতে পারছেন না। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে ছবিটি বিক্রির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বিক্রি করতে না পেরে ‘৩০ লাখ’ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ‘বিপর্যস্ত’ অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।
পলাশ বলেন, একবেলা খাইতাম, আরেক বেলা খাইতাম না। হাত পাততে পারতাম না। কতজনের কাছে চাকরির জন্য ধর্ণা দিয়ছি। কিন্তু কেউই সহযোগিতা করেনি। পরে চিন্তা করলাম, ওয়েটার হিসেবে কাজ করব। মাস দুয়েক আগে থেকেই হোটেলে কাজ শুরু করেছি।
‘বছর খানেক আগে টিভি, কম্পিউটার-সব বিক্রি করে বাসা ভাড়া দিয়েছি। এখন মিরপুরের এক মেসে থাকি।’
রেস্তোরাঁয় রোজ ১২ ঘণ্টা কাজ করে দিনপ্রতি ২৫০ টাকা রোজগার করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান এই তরুণ পরিচালক।
নিজের ‘দেশাত্মবোধ’ থেকেই ছবিটি নির্মাণের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে জানালেন অরণ্য পলাশ।
তিনি বলেন, দেশকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটা অন্য রকম লাগে। ভালো লাগার ব্যাপারটা থেকেই ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি বানিয়েছি। পুরো গল্পটাই হচ্ছে দেশবোধকে জাগ্রত করে। সেই দেশই আমাকে না খাইয়ে রাখে, আমি ওয়েটার হিসেবে কাজ করি।
ছবিটি দেখে ভালো লাগলে সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতার আশা করছেন অরণ্য পলাশ।